সাজেক ভ্যালী।


বিস্তারিত যাওয়ার নিয়ম এবং কোথায় ঘুরবেন থাকবেন:ঢাকা থেকে শ্যামলি বা হানিফ পরিবহন ৫২০/-।  শান্তি পরিবহন দীঘিনালা বাজারে যাবে। সো ওটাতেই যাবেন। চাদের গাড়ি ধরতে সহজ হবে। বাস খরচ ৫৮০/- প্ল্যান করবেন সকাল ৭/৮ টার ভেতর খাগড়াছড়ি পৌছানোর। কারণ আর্মিদের বেধে দেওয়া সময়মত গাড়ি ছাড়ে সাজেকের উদ্দ্যেশ্যে। সকাল ১০ টা থেকে শুরু মে বি
সাজেক রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় অবস্থিত । সাজেক হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন । যার আয়তন ৭০২ বর্গমাইল । সাজেক রাঙামাটি জেলায় অবস্থিত হলেও যাতায়াতে সুবিধার কারণে পর্যটকরা খাগড়াছড়ি জেলা দিয়েই সাজেকে আসা যাওয়া করে ।
খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে সাজেক  এর দূরত্ব ৭০ কিলোমিটার ।  সাজেক যাওয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো খাগড়াছড়ি শহর থেকে জীপগাড়ি (লোকাল নাম চাঁন্দের গাড়ি) রিজার্ভ নিয়ে ঘুরে আসা । ভাড়া নিবে ৪৫০০-৫৫০০ টাকা । এক গাড়িতে ১৫ জন বসতে পারবেন । লোকসংখ্যা বেশি হলে অবশ্যই চান্দের গাড়ী নিয়ে মজা করতে করতে যেতে পারবেন ।ছাদে বসে গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছিলো রোলার কোস্টার। একবার উপরে উঠে আবার নামে। আর আশেপাশে পাহাড় দেখতে পারবেন সহজে।তবে এক্ষেত্রে কথা হলো ৪-৫ হাজার টাকা নিবে যদি আপনি দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসেন কিন্তু আপনি যদি রাতে থাকেন সেক্ষেত্রে আমি আপনাকে দুইটা রাস্তা দেখিয়ে দিতে পারি ,এক সাজেক গিয়ে গাড়ী ছেড়ে দিবেন কিন্তু ড্রাইভারের নাম্বারটা রেখে দিবেন বলবেন ফোন দিলে যেন চলে আসে । দ্বিতীয় রাস্তাটা হলো সাজেকে রাতে থেকে তারপর যখন চলে আসবেন সেদিন দেখবেন অনেক চান্দের গাড়ী যাত্রী নামিয়ে খালী চলে যাচ্ছে সেগুলোতে কম দামেই্ শহরে চলে আসতে পারবেন ।
কই থাকবেন: মেঘ মাচাং প্রথমেই সাজেস্ট করবো। মেঘের স্পর্শ পাবেন। আমি ছিলাম ইমানুয়েলে।ইমানুয়েল রিসোর্ট : এটিতে ৮ টি রুম আছে। সব গুলো কমন বাথ। রুম প্রতি ভাড়া ১৫০০ টাকা ও ৭০০ টাকা। ১৫০০ টাকার রুমে দুইটি ডাবল বেড আছে। ৬ জন থাকতে পারবেন। ৭০০ টাকার রুমে ২ টি বেড আছে। যোগাযোগ: ০১৮৬৫৩৪৯১৩০, ০১৮৬৯৪৯০৮৬৮( বিকাশ) এই রিসোর্টটা একদম সাধারণ একটা রিসোর্ট।
সাজেকে যা মিস করবেন না!- হ্যালিপেডে শুয়ে আকাশে তারা দেখে,আমার মত কপাল ভাল হলে পূর্ন চাঁদ ও দেখতে পারেন � ঝিরিঝিরি বৃষ্টি আর জোনাকি পোকা ও ছিল। ভোরে পাহাড়ের পিছন থেকে জেগে উঠা সূর্য।
সাজেক এর অপরুপ সৌন্দর্য্য দেখা ছাড়াও দেখে আসতে পারেন কমলক ঝর্না, সাজেকে এর রুইলুই পাড়া থেকে দুই থেকে আড়াই ঘন্টার ট্রেকিং করে দেখে আসতে পারেন সুন্দর এই ঝর্নাটি, বুনো রাস্তা আর ৮০-৮৫ ডিগ্রি খাড়া পাহাড় বেয়ে নামতে আর উঠতে হবে অনেক খানি তারপর ঝিরিপথ পাবেন, ঝিরিপথ ধরে এগিয়ে আবার উঠতে হবে কিছুটা, এইভাবে আরো কিছুক্ষন ট্রেক করার পর পৌছে যাবেন ঝর্নার কাছে। ঝিরিপথ টিও অসম্ভব সুন্দর, এডভেঞ্চারটি ভালো লাগবে আশা করি। রাস্তাটি বর্ষার সময় খুব পিচ্ছিল থাকে তাই খেয়াল রাখবেন চলার সময়। গাইড রুইলুই পাড়া থেকে ঠিক করে নিবেন, ঝর্নার কথা বললেই হবে, ৩০০-৩৫০ টাকা নিবে।
সাজেক থেকে ফেরার সময় হাজাছড়া ঝর্ণা , দীঘিনালা ঝুলন্ত ব্রিজ ও দীঘিনালা বনবিহার দেখে আসতে পারেন । একদিনে এই সব গুলো দেখতে হলে যত তারাতারি সম্ভব বেড়িয়ে পড়বেন ।
খাগড়াছড়ি শহর থেকে আপনি ঘুরতে পারবেন রিসং ঝরনা এবং আলুটিলা গুহা । সিএনজি বা বাসেই চলে যেতে পারেন এই দুই স্পটে ।
৬/৭ জনের গ্রুপ গেলে খরচ ৫-৫৫০০
অবশ্যই যেসব জিনিস নিবেন- পাওয়ার
ব্যাংক,চার্জার লাইট,রবি বা টেলিটক সীম
courtesy - Rahat hasan turzo bhai

মাত্র ৯০০ টাকায় ঘুড়ে আসুন খইয়াছড়া



Khoiyya Chora
কিভাবে যাবেন: ঢাকার কমলাপুর / টিটিপাড়া থেকে ফেনী যাবার লাষ্ট বাসটা ধরবেন (Starline recommended)। ১১:৪০ এ ছাড়ে।  ভাড়া নিবে ২৭০ টাকা।  ফেনীর মহীপালে আপনাকে ৪:৩০-৫ টায় নামায় দিবে।  ওখনানে নেমে নাস্তা করুন (৫০ টাকা)।  নাস্তা করে কিছুক্ষন ঘুরে দেখেন আশপাশ।  ৬:০০-৬:২০ এর মধ্যে বাড়টাকিয়া যাবার লোকাল বাস পেয়ে যাবেন।  ভাড়া ৫০ টাকা।  ৭:৩০ এ বাড়টাকিয়া চলে যাবেন।  ওখানে নেমে মেইনরোড ধরে  ব্যাকওয়ার্ড এ ৫ মিনিট হাটলে খইয়াছড়া যাবার রাস্তা পাবেন। ওখানে সিএনজি দাঁড়ায় থাকে।  পার হেড ৩০ টাকায় আপনাকে খইয়াছড়ার ঝিরিপথের মুখে।  নেমে ৪০ মিনিট হাটলে ৯ টার আগেই খইয়াছড়ার প্রথম ধাপে পৌছে যাবেন।  প্রথম ধাপ দেখে গোছল করে শেষ ধাপ পর্যন্ত হেসে খেলে সময় নিয়ে  ঘুরে সিএনজি পার্কিং আসতে আপনাত সর্বচ্চো ১ টা বাজবে।  সিএনজি তে ৩০ টাকায় বাড়টাকিয়া চলে আসেন। ওখান থেকে ৫ টাকায় লেগুনাতে করে মিরসরাই চলে আসেন।  মিরসরাই নেমে দুপুরের খাবার খেয়ে নিন (১০০ টাকা)। মিরসারাই থেকে হানিফ, ইউনিক, সোউদিয়া, শ্যামলী সব বাসের টিকেট পাবেন।  ভাড়া ৩৫০ টাকা।  ২:৫০ টার টিকেট করলে ৭ টার মধ্যে ঢাকায় থাকবেন :)
খরচ : ২৭০+৫০+৫০+৩০+৩০+৫+১০০+৩৫০=৮৮৫ টাকা।
বি: দ্র: খাওয়ার খরচ আপনার নিজের উপর ডিপেন্ড করে।  আর পাহাড়ে উঠার সময় রাস্তা অনেক পিচ্ছিল থাকে।  ট্রেক স্যান্ডেল পরে যাওয়া ভালো :)
#হ্যাপি_ট্র‍্যভেলিং
P.C. : Ameer Faisal

রাঙ্গামাটি ভ্রমন এর টিপস ও খরছঃ

ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে যাওয়ার উপায়, থাকা ও ঘুরার যাবতীয় তথ্য (খরচের হিসাব সহ)
Bogalake
কি কি দেখবেন?
১) শুভলং ঝর্ণাঃ কেবল বর্ষাকালে শুভলং ঝর্নার পানি থাকলেও অসাধারন শুভলং চ্যানেল দেখতে সারা বছরই পর্যটকদের আগমন ঘটে এখানে। ঘুরে দেখতে পারেন শুভলং আর্মী ক্যাম্প ও শুভলং বাজার। রাঙ্গামাটির রিজার্ভ বাজার থেকে শুভলং আপ-ডাউন রিজার্ভ বোট ভাড়া প্রায় ১২০০ টাকা।খরচ কমাতে এবং ইঞ্জিন বোটের ইঞ্জিনের বিকট শব্দ থেকে রক্ষা পেতে রিজার্ভ বাজার থেকে লঞ্চে শুভলং যেতে পারেন। লঞ্চ ভাড়া জনপ্রতি ৫০ টাকা।
২) ঝুলন্ত ব্রিজঃ দুই পাহাড়ের মাঝে প্রায় ঝুলন্ত এই ব্রিজটি দেখতে রাঙ্গামাটিতে অসংখ্য পর্যটকের আগমন ঘটে। ব্রিজের এক পাশের পাহাড়ের উপর রয়েছে শিশুদের জন্য দোলনা, স্লিপার সহ অন্যান্য বিনোদনের ব্যবস্থা।ব্রিজের নিচ থেকে নৌকা ভাড়া করে লেকে ভ্রমন করতে পারেন। ঝুলন্ত ব্রিজে প্রবেশ ফি জনপ্রতি ১০ টাকা।শহরের তবলছড়ি থেকে ঝুলন্ত ব্রিজে সিএনজি ভাড়া ৫০-৬০ টাকা, বনরূপা থেকে ১২০ টাকা।
৩) রাজবন বিহারঃ রাঙ্গামাটি ঘুরতে গেলে আবশ্যই রাঙ্গামাটির ঐতিয্যবাহী রাজবন বিহার ঘুরে আসবেন।এটি রাঙ্গামাটি জেলার চাকমাসহ অন্যান্য উপজাতীদের প্রধান বিহার। মূলত পাশ্চাত্য ধাচের নৈর্মান কৌশল ও স্থাপত্যের কারনে পর্যটকদের আকর্ষন এই বিহারটি। বিহারে গেলে বনভান্তেরর (ধর্মগুরু) মমি দেখে আসবেন। রাজবন বিহারের পাশেই চাকমা রাজার বাড়ি।রাজবাড়ি যেতে নৌকা পারাপার জনপ্রতি ৫ টাকা। শহরের বনরূপা থেকে রাজবন বিহারের সিএনজি ভাড়া ৫০ টাকা, তবলছড়ি থেকে ১২০ টাকা।
*** রিজার্ভ বাজার থেকে ১৫০০ টাকায় বোট নিয়ে উপরের ৩/৪ টি স্পট সাথে টুকটুকি ইকো ভিলেজ, চাংপাং, পেদাটিংটিং একসাথে ঘুরতে পারেন। তবে শেষ ৩ টি স্পট মুলত দ্বীপের মধ্যে খাবার রেস্ট্যুরেন্ট।খাবার সামান্য কস্টলি হলেও পরিবেশ ও পাহাড়ি ধাচের কিছু খাবারের জন্য অন্তঃত একবেলা এখানে খেয়ে নিবেন। ৪) শেখ রাসেল এভিয়ারী এন্ড ইকো পার্কঃ কাপ্তাই অবস্থিত পার্কটিতে রয়েছে বাংলাদেশের ধীর্ঘতম (২.৫ কিঃমিঃ) ক্যবল কার।পার্কে প্রবেশ ফি ২৩ টাকা এবং ক্যাবল কারের টিকেট ফি ২৩০ জনপ্রতি টাকা (বাচ্চাদের ১১৫ টাকা) টাকার পরিমান একটু বেশি মনে হলেও ১৫ মিনিটের এক অসাধারন এডভ্যাঞ্চার উপভোগ করবেন এই ক্যবল কার ভ্রমনে। রাঙ্গামাটি হতে ইকো পার্কের বাস ভাড়া জনপ্রতি ৬০ টাকা।
৫) ঝুম রেস্তোরাঃ কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত এই ট্যুরিস্ট স্পটটি শেখ রাসেল এভিয়ারী এন্ড ইকো পার্ক থেকে ৬ কিঃমিঃ দূরে অবস্থিত। প্রবেশ ফি ১০ টাকা।এখানে বসে উপভোগ করবেন পাহাড়ী নদী, নদীর বাক, পাহাড় এবং চা বাগান। দুপুরের খাবার এখানেই সেরে নিবেন। আর নৌকায় নদী ভ্রমন মোটেও মিস করবেন না।নদীর দুই পাশে খাড়া পাহাড় ও অরণ্যের কারনে বাংলাদেশের যে কোন নদী অপেক্ষা এখানে নৌ ভ্রমনের স্বাদই আলাদা।
৬) চিৎমরম গ্রাম ও টাওয়ারঃ ঝুম রেস্তরা হতে ৪ কিঃমিঃ দূরে চিৎমরম। এখানে রয়েছে বনবিভাগের নির্মিত ২ টি টাওয়ার। দূরদূরান্তের পাহাড়, কাপ্তাই লেক, কর্নফুলী নদী উপভোগ করা যাবে এই পাহাড় থেকে। হাতে সময় থাকলে নদী পাড় হয়ে ঘুরে আসতে পারেন চিৎমরম গ্রামে।মার্মা অধ্যুষিত এই গ্রামে মার্মাদের কৃষ্টি-কালচার দেখার পাশাপাশি চিৎমরম মন্দিরও ঘুরে দেখতে পারেন। *** রাঙ্গামাটি হতে ১৫০০-২০০০ টাকায় সিএনজি অথবা ৩০০০-৪০০০ টাকায় মাইক্রবাস রিজার্ভ নিয়ে কাপ্তাই উপজেলার শেখ রাসেল এভিয়ারী এন্ড ইকো পার্ক,ঝুম রেস্তোরা,চিৎমরম গ্রাম ও টাওয়ার দেখতে পারেন।রিজার্ভ গাড়িতে অসাধারন প্রাকৃতিক সৌন্দয্যে ভরপুর রাঙ্গামাটি-কাপ্তাই এর নতুন রাস্তা ভ্রমন করতে পারেন যা বাসে ভ্রমনে সম্ভব নয়। আর আগে থেকেই অনুমতি নিয়ে আসলে কাপ্তাই এ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ও কর্ণফুলী পেপার মিল ঘুরে দেখতে পারেন।
*** রাঙ্গামাটি বেড়াতে আসলে অবশ্যই একদিন কাপ্তাই উপজেলার জন্য বরাদ্দ রাখা উচিত।

কোথায় থাকবেন?.
১) রংধনু গেস্ট হাউজঃ ভাড়া ফযামিলি বেড ৬৫০ টাকা, কাপল বেড ৫০০ টাকা, ফোনঃ ০১৮১৬৭১২৬২২, ০১৭১২৩৯২৪৩০
২)পর্যটন মোটেলঃ রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত ব্রিজের পাশেই অবস্থিত।ভাড়া নন এসি টুইন বেড- ১২০০ টাকা, এসি টিন বেড- ২০০০ টাকা। ফোন- ০৩৫১-৬৩১২৬ 
Shuvolong Waterfall
৩) হোটেল গ্রিন ক্যাসেলঃ রিজার্ভ বাজারে অবস্থিত। ভাড়া নন এসিঃ সিঙ্গেল বেড- ৮০০ টাকা, কাপল বেড- ১০০০ টাকা, ত্রিপল বেড ১২০০ টাকা। এসি- কাপল বেড-১৬০০, ত্রিপল বেড ২০০০ টাকা। যোগাযোগঃ ০৩৫১-৬১২০ 4) হোটেল সুফিয়াঃ ০১৫৫৩৪০৯১৪৯, ফিসারী ঘাট, কাঁঠালতলী, রাঙ্গামাটি।
কিভাবে যাবেন ?
ঢাকা হতেঃ ঢাকার ফকিরাপুল মোড় /সায়দাবাদ জনপদের মাথায় রাঙ্গামাটিগামী অসংখ্য বাস কাউন্টারের অবস্থান। সকল বাসই সকাল ৮.০০ হতে ৯.০০ টা এবং রাত ৮.৩০ হতে ১১.০০ এর মধ্যে ঢাকা ছাড়ে। ভাড়াঃ ঢাকা-রাঙ্গামাটিঃ এসি ৯০০ টাকা (শ্যামলী), বিআরটিসি এসি ৭০০ টাকা, নন এসি সকল বাস- ৬২০ টাকা।
কেউ প্রথমে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম এসে যদি রাঙ্গামাটি যেতে চান সে সুযোগটাও আছে ।
চট্টগ্রামের অক্সিজেন মোড়ে রাঙ্গামাটিগামী বাস কাউন্টার সমূহের অবস্থান। এখানে লোকাল ও ডাইরেক্ট দুই রকমের বাস পাওয়া যায়। ভাড়া সামান্য বেশি হলেও ডাইরেক্ট বাসে উঠাই বুদ্ধিমানের কাজ। ভাড়াঃ চট্টগ্রাম- রাঙ্গামাটিঃ ১২০ টাকা
লেখাঃ সীমা হালদার
ছবি- নেট থেকে

দেখুন নাপিত্তাছড়ার সৌন্দর্য্য!





.
যেভাবে যাবেনঃচট্টোগ্রাম হতে মিরসরাই বাসে করে জাবেন ।বাস একে খান এরিয়া হতে পাবেন। ভাড়া - ৫০ টাকা নিবে । মিরসরাই এর পরের স্ট্যাশন নয়দুয়ারি নেমে গ্রামের মেঠু পথে হেটে রেল লাইন পার হয়ে ঝিড়িপথ পাবেন।
মিরসরাই এর সবচে সুন্দর এই ট্রেইলে আপনাকে স্বাগত জানাবে বাহারি রঙের হাজারো প্রজাপতি।
.
জীবনে একবার হলেও এই ট্রেইলটটি ঘুরে আসার অনুরোধ রইলো।



collected from - 
Sakhawat Hossain Sabuj bhai .

২০০০ টাকায় ভারত ভ্রমণ......!! (ঢাকা-শিলিগুড়ি-মিরিক-শিলিগুড়ি-ঢাকা)




অবাক হচ্ছেন উপরের শিরনাম দেখে?
হ্যাঁ হবারই কথা, স্বাভাবিক ভাবেই। আসলে হয়েছে কি ভ্রমণে কে, কিভাবে কোন খাতে কত টাকা খরচ করবে সেটা কিন্তু একান্তই তার বা তাদের ব্যাক্তিগত ব্যাপার।
এই যে, এখন যে ভ্রমণের গল্পটি সংক্ষেপে বলবো সেই গল্পতেও খরচ ২০০০ টাকার পরিবর্তে ২০,০০০ টাকাও করা সম্ভব! হ্যাঁ আসলেই সম্ভব। শুধু দৃষ্টি ভঙ্গির পার্থক্য হলেই, সাথে একটু বেশী আরাম-আয়েশ আর এটা-সেটা করলে তো হবেই তাইনা?
যাই হোক ফালতু কথা না বলে এবার সরাসরি চলে যাই মূল গল্পে, কিভাবে মাত্র ২০০০ টাকায় ঘুরে এলাম ভারতের শিলিগুড়ি আর মিরিক? চলুন শুনি?
অনেকেই আমার ঘুরে আসার পরে ট্যুর প্ল্যান চেয়েছে, তাদের পাশাপাশি অন্য সকল অল্প খরচে ভ্রমণ পাগলদের জন্য এই লেখা।
এবার এই ভ্রমণের মূল উদেশ্যই ছিল, কত কম খরচে আর কম সময়ে ভারতের একটা নান্দনিক জায়গা উপভোগ করে আসা যায়? আর নতুন যে পোর্ট দিয়ে (বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ি) যাবো সেটার সুবিধা-অসুবিধা কি আর কেমন? তাই এই সংক্ষিপ্ত ভ্রমণের একান্ত আয়োজন।
শুরু হল যাত্রা, ঢাকা থেকে রাত ১০ টায় নাবিল পরিবহনে ৬৫০ টাকায় পঞ্চগড় পৌঁছলাম সকাল ৭ টায়। পঞ্চগড় থেকে ৫০ টাকা ভাড়া দিয়ে লোকাল বাসে বাংলাবান্ধা সকাল ৯:৩০। মাঝে ৩০-৪০ মিনিট লোকাল বাসের সিস্টেম লস।
ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস এর বৈতরণী পেরিয়ে ১১ টায় ফুলবাড়ি বাস স্ট্যান্ড। উল্লেখ্য দুই পারের দুই সীমান্তে কিছু টাকার সিস্টেমলস হয়েছে, সেটা চাইলেই এড়ানো যেত, কিন্তু যেহেতু প্রথমবার একা একা অন্য কোন দেশে ভ্রমণ করতে যাচ্ছি, আবার একা একাই ফিরতে হবে এই পোর্ট দিয়ে এবং আর তেমন কোন যাত্রী ছিলোনা, তাই কোন রকম ঝামেলায় না গিয়ে অল্প কিছু টাকার বিনিময় নির্ঝঞ্ঝাট থাকতে চেয়েছি। তাই সেই অযৌক্তিক খরচকে ভ্রমণের অন্তর্ভুক্ত করা হলনা। কারণ এই খরচ, ব্যাক্তি ভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে।
এরপর ফুলবাড়ি থেকে লোকাল বাসে ১০ রুপী দিয়ে শিলিগুড়ি, সেখান থেকে শেয়ার জীপে করে ১০০ রুপীতে পাহাড়ি আঁকাবাঁকা, মেঘে ঢাকা, চা বাগানের নান্দনিকতায় ঘেরা, গভীর অরণ্য ভেদ করে ছুটে চলা মিরিক ১২:৩০ এ।
পরের চার ঘণ্টা, মানে ৪:৩০ পর্যন্ত মিরিকের লেক, নান্দনিক সুইস কটেজ, সবচেয়ে উঁচু চুড়া, হ্যালিপ্যাড, মেঘ-কুয়াশা-নীল আকাশ, একটু দূরেই পাহাড়ে পাহাড়ে নেপালি গ্রাম, কারশিয়াংদার্জিলিং এর পাহাড়, আকাশ পরিস্কার আর মেঘ মুক্ত থাকলে, সাথে যদি থাকে ভাগ্যের পরশ তো দূরে দাড়িয়ে থাকা বরফে মোড়া রঙিন কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা পাওয়া... সারাদিনের অল্প ভ্রমণে আর কি চাই?
এরপর বিকেল ৪:৩০ এর শেষ শেয়ার জীপের ছাদে উঠে (নিচে সিট না পাওয়ায়) ৭০ রুপীতে শিলিগুড়ি। শিলিগুড়ি ফিরে ৪০০ রুপীতে একটি রুম নিয়ে (যথেষ্ট ভালো) ফ্রি ওয়াই-ফাই সহ। ব্যাগ রেখে ফ্রেস হয়ে, ব্যাক্তিগত কাজে বেরিয়ে পরা। কাজকর্ম সেরে, ১২০ রুপীতে আচ্ছামত মাটন বিরিয়ানি খেয়ে, আর সেহেরীর জন্য ১০ রুপীর জিলাপি নিয়ে রুমে ফিরে, নেটে বুদ হয়ে যাওয়া।
ক্লান্তির কাঁছে পরাজিত হয়ে, ঘুমের কাছে নিজেকে বিসর্জন দিয়ে দেয়া। সকালের ঝুম বৃষ্টিতে এর একবার ঘুমে হারিয়ে, নেটে ডুবে থেকে বেলা ১২:৩০ টায় রুম ছেড়ে, ব্যাগ হোটেলের রিসেপসনে রেখে বেরিয়ে পরা। বিকেল তিনটা পর্যন্ত ঘুরে-ঘুরে ক্লান্ত হয়ে হোটেলে ফিরে একটু ফ্রেস হয়ে, কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে, হোটেলের সাথে লাগোয়া রাস্তা থেকেই ফুলবাড়ির অটোতে ওঠা! ভাড়া সেই ১০ রুপী আর সময় ১৫-২০ মিনিট!
আবারও ইমিগ্রেশন এন্ড কাস্টমস এর আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ৪ টায় বাংলাবান্ধা। লোকাল বাস বা ভাগ্যক্রমে পেয়ে যাওয়া মাইক্রোতে করে ৬০ টাকায় পঞ্চগড়! আর ফেরার সময় ৬০০ টাকায় ঢাকায়!

Coppied - 
Sajol Zahid bhai

Tour details of Sundarbans-সুন্দরবন টুরের বিস্তারিত ঃ




ইন্টারনেটে খু্ব বেশি তথ্য না থাকায়, অনেকেই সাহস করেন না সুন্দরবনে টুর আয়োজনের। অনেকে আবার ভাবেন, অনেক বড় টিম ছাড়া সুন্দরবন যাওয়াই যাবেনা। প্রথম কথাটা কিছুটা যৌক্তিক বলে এই লেখা, তবে খুব বড় টিম লাগে সেটিও এখন আর যৌক্তিক নয়। এটা ঠিক যে দেশের অন্যান্য যে কোন ভ্রমন স্পটে একা একা বা দুই একজন মিলে যাওয়া গেলেও সুন্দরবন তার ব্যাতিক্রম। লঞ্চ ও তেলের খরচ পোশাতে যেতে হয় দল বেধে। কিন্তু তথ্য বা ধারনা না থাকায় অনেকই এ ভ্রমন কে কঠিন মনে করে আগ্রহ হারায় বাংলাদেশের গর্ব, বিশ্বের সবচেয়ে বড় এ ম্যানগ্রোভ বন ভ্রমনের প্রতি। সবার অবগতির জন্য সুন্দরবন বিষয়ে কিছু তথ্য দেয়ার চেস্টা করছি।
সুন্দরবনে সাধারনত তিনি ধরনের টুর হয়:
#শর্ট টুর: করমজল
এটা সুন্দরবনের প্রথম স্পট। মংলা থেকে চার ঘন্টায় ঘুরে আসা যায় অনায়াসেই, কোন পারমিসনের প্রয়োজন হয়না, ২৩ টাকার প্রবেশ টিকিট সংগ্রহ করলেই যথেস্ট। এখানে রয়েছে বনে হাটার জন্য একটি ট্রেইল ও ওয়াচ টাওয়ার, সুন্দরবনের অন্য স্পটগুলোতে হরিণ কুমির বা বানর দেখতে পান বা না পান করমজলে দেখতে পাবেন শিওর। কারন তাদেরকে বেধে রাখা হয়েছে। এ দৃশ্য অবশ্য যে কোন চিড়িয়াখানাতেও দেখা যায়।
#মাঝারি টুর: হারবাড়িয়া
আমার দেখা সু্ন্দরবনের সবচেয়ে গোছানো ও সুন্দর স্পট এই হারবাড়িয়া। চিড়িয়াখানা ছাড়া করমজলের সব গুনই আছে হারবাড়িয়ায়। এখানে পাবেন আরেকটু গহীন বনের অনুভুতি। এই স্পটটি সুন্দরবনের আরেকটু ভেতরে হওয়ায় ঘুরে আসতে একদিন পুরো লেগে যায়, অনেকে নৌকাতে রাতেও থাকে। বন বিভাগের পারমিশন ছাড়া ট্রেইলে হাটা যাবেনা। পাশ পারমিশন হয়ে গেলে আপনার সাথে দেয়া হবে একজন গান ম্যান। যেহেতু গান ম্যান সাথে যায়, তাই বুঝতেই পারছেন এটা কোন খেলনা বন নয়, হালুমের মোটামুটি কাছাকাছিই আছেন আপনি। এই স্পটে প্রায়ই দেখা মেলে বাঘের কাঁচা পায়ের ছাপ। তাই চোখ কান খোলা রাখুন!
নাব্বতা সংকটের কারনে মোংলা পোর্টে এখন আর বড় জাহাজ খুব একটা আসেনা। সব আনলোড হয় এই হারবারিয়ার মাঝ নদীতেই। তাই সেখানে গেলে আপনার দেখা মিলবে বিশাল দেহি সামুদ্রিক জাহাজ, যা আমাদের দেশী সাধারণ কার্গোগুলোর ২০-৫০ টার সমানও হয়)
#লং টুর: কটকা- কচিখালী-হারবাড়িয়া-করমজল
সুন্দরবনের পরিপুর্ন স্বাধ যদি কেউ পেতে চায় তাহলে তাকে এই টুরে যেতেই হবে। আগের স্পটগুলোও কভার করা হয় এই টুরে, সাথে যোগ হয় গহীন বনে প্রবেশ ও বাঘের রাস্তা ধরে হাটার সুযোগ।এই টুরে পুরো তিন দিন লেগে যায়। লঞ্চ নিয়ে চলে যাওয়া হয় সুন্দরবনের একেবারে শেষ মাথায়। গহীন বনের যেখানে শেষ, সেখান থেকেই শুরু হয়েছে বঙ্গপসাগর, সে দৃশ্য চোখে না দেথলে বলে বোঝানো যাবে না। সাধারণত বাঘ দেথা না গেলেও খোলা মাঠে হরিন দেখতে কটকায় খুব একটা ভাগ্য লাগেলা।এর পাশেই কচিখালী স্পট, সেখানেই অবস্থান কচিখালী বিচের। এই টুরে নৌকায় করে ঘুরা হয় ছোট খালে। বড়শি দিয়ে ধরা যায় মাছ। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বাঘের পায়ের ছাপ। তিন দিন খাওয়া দাওয়া সহ সব কর্মকান্ডই হয় লঞ্চে।
(খরচ নির্ভর করে সংখ্যা ও সময়ের উপরে তাই এ বিষয়ে কোন তথ্য লাগলে ইনবক্সে করতে পারেন। সময় করে সবাইকেই রিপ্লে দেয়ার চেস্টা করবো। বলতে পারবো তখন কেমন খরচ চলছে।)
ডিসেম্বর জানুয়ারী এই দুই মাস নিয়মিতই টুর অপারেটরদের প্যাকেজ থাকে। চাইলে তাদের প্যাকেজে অন্যান্যদের সাথে মিলে টুরে যাওয়া সম্ভব। আর নিজেরা যেতে চাইলে ছোট দুই একটি গ্রুপ মিলেও টুরে যাওয়া যেতে পারে। অথাবা নিজেরা ইভেন্ট করে কয়েকজন মিলে করা যেতে পারে ভ্রমন গ্রুপ। অনেকেরই হয়ত ধারনা ৪০/৫০ জনের কমে সুন্দরবন যাওয়া যায়না, কিন্তু মজার ব্যাপার হল মাত্র ৮-১০ জনেই হতে পারে একটি গ্রুপ, আর এর চেয়ে যত বেশিই হোক সমস্যা নেই। আর নিজেরা গ্রুপ করে গেলে খরচ পড়ে সাভাবিকের তুলনায় কম। তবে চাইলে
খুলনা ও মংলা দুই যায়গা থেকেই জাহাজে ওঠা যায়, কিন্তু খুলনার জাহাজগুলো মোংলা হয়েই যেতে হয়, তাই মোংলা থেকে ওঠাই বেটার।
আর ঢাকা থেকে মংলার যোগাযোগ ব্যাবস্থা ভালই বলা চলে। সায়দাবাদ থেকে সরাসরি বাস আছে, একেবারে ঘাটে নামিয়ে দেবে। বাস থেকে নেমে ৫০ কদম এগুলোই জাহাজ। তবে মোংলার সবই সেমি চেয়ার কোচ, দুই একজন লোক দাড়িয়েও নিতে পারে। এসিতে যেতে হলে বা ট্রেনে ভ্রমন করতে হলে যেতে হবে খুলনা। তবে সময় লাগবে বেশি। সেখান থেকেও মোংলা আসা যায় অন্য গাড়িতে। আর খুলানা থেকেও ওঠা যায় সুন্দরবনের লঞ্চে।

ট্রান্সপোর্ট ও সম্ভাব্য খরচ

সুন্দরবনে যে শুধু বেশি খরচেই ঘুরতে হয় তা নয়, চাইলে কিছুটা কম খরচেও ঘুরতে পারবেন আপনি। .সুন্দরবনে যে তিন রকমের টুর হয় সেটা নিয়ে তো আগেই লিখেছি, আজ লিখছি তিন দিনের 'লং টুরের' খরচ ও ট্রন্সপোর্ট নিয়ে। সুন্দরবন যেতে হলে খুলনা বা মংলা এর যে কোন একটি যায়গা থেকে আপনাকে উঠতে হবে লঞ্চে। সেখানে রয়েছে বিভিন্ন অপারেটরের বিভিন্ন মাপ ও মানের লঞ্চ। #খুলনা থেকে সাধারনত ৩০ থেকে ৭০ বেডের লঞ্চ পাওয়া যায়। আপনার টিমের আকার যদি ছোট হয় (দুই চার জন) সেগুলোতে অন্যদের সাথে কম্বাইন্ড করে সুন্দরবন ঘুরে আসতে পারেন। সাধারনত প্রতি শুক্র-রবি অথবা সোম/মঙ্গল-বুধ/বৃহঃ খুলনা লঞ্চঘাট থেকে অপারেটরদের প্যাকেজ থাকে। এছাড়া প্রতিদিনই প্যাকেজ থাকার সম্ভাবনা থাকে, কিন্তু নিশ্চিত নয়। আর নিজেদের লোক সংখ্যা যদি একটি লঞ্চের সমান হয় তাহলে প্যাকেজের ভিতরেই নিজেরাই একটি লঞ্চ নিতে পারবেন।#মংলা থেকেও এই প্যাকেজগুলো করা হয়, কিন্তু এক দুই জনের জন্য নিয়মিত কোন প্যাকেজ নেই। অনেকে সময় বাঁচানোর জন্য খুলনার লঞ্চ গুলোই মোংলায় এনে সেখান থেকে প্যাকেজ করে থাকে।মোংলা থেকে নতুন একটি সার্ভিস চালু হয়েছে। ১০ থেকে ২০ জনের গ্রুপ হলেও প্যাকেজে নিজেরা একটি লঞ্চ নিতে পারবেন। এতে আপনাদের প্রাইভেসিও থাকবে, লোক কম হওয়ায় সার্ভিসও ভালো পাবার সম্ভাবনা থাকে। আর মংলা থেকে লঞ্চে সময়ও ৩ ঘন্টা কম লাগে। খরচ: সুন্দরবনের প্যাকেজগুলোতে জাহাজে ওঠার পর থেকে তিনদিনের টুর শেষে আবার ঘাটে ফেরা পর্যন্ত লঞ্চভাড়া, ফুয়েল, খাবার, নাস্তা, প্রত্যেকের সরকারী পাশ, রেভিনিউ, গাইড, গানম্যান, বনে ঘুরার ছোট নৌকা সহ অন্যান্য সব খরচ ইনক্লুড থাকে। অবশ্য পকেটে হিউজ পাত্তি নিয়া গেলেও সেখানে খরচ করার কোন যায়গা নাই! অনেকে ঢাকা থেকেও প্যাকেজ করে। এখানে খুলনা বা মংলা থেকে লম্ভাব্য খরচ উল্লেখ করা হল। #খাবারের মান ও জাহাজ ভেদে মাঝারি ধরনের একটি টুরে সাধারনত খরচ পরে ৬০০০-৮০০০ টাকা।#বেশি ভালো যেতে চাইলে এর উপরে পারহেড ১৯,০০০ টাকা পর্যন্তও প্যাকেজ আছে।#আর সুন্দরবন টুরের খরচ কমানোর যে চেস্টা করছিলাম। সেই মোতাবেক স্টুডেন্টদের জন্য সুখবর হল এই যে ৩৫ থেকে ৪০ জন হলে একটি লঞ্চে ফ্লোরিং করে ৪০০০-৫০০০ টাকার মধ্যেও তিন দিনের সুন্দরবন ভ্রমন সম্ভব। তবে ন্যাশনাল হলিডে গুলোতে খরচের কোন লিমিট নেই। আর পরাপর দুইদিন যদি ছুটি পরে তাহলেতো কোন কথাই নেই। খরচ আকাশও ছুতে পারে। আর এডভান্স দিয়ে এক দেড় মাস আগে বুকিং না দিলে ভ্যাসেল পাওযাই কঠিন। অনেকে জাহাজ ভাড়া নিয়ে নিজেরাই আয়োজন করতে চায়, হ্যা সুন্দরবনে নিজেরাও আয়োজন করা সম্ভব, কিন্তু প্যারা মহদয় আপনাকে এতটাই অতিষ্ঠ করিতে পারে যে, আপনার টুরের আনন্দ মাটি না হয়ে কাঁদায় পরিনত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি!
ঢাকা থেকে খুলনা বা মংলায় যাতায়াত: #খুলনা কিভাবে যাবেন:ঢাকার গাবতলী/কল্যানপুর/আব্দুল্লাহপুর থেকে আরিচা ফেরি হয়ে খুলনার নিয়মিত বাস আছে। নন এসি বাসের ভাড়া ৫৫০ আর এসি ১৩০০।বাস থেকে নেমে রিক্সা বা অটোতে করে যেতে হবে লঞ্চ ঘাট।আর ট্রেনে করে খুলনা গেলে স্টেশনে নেমে আর কোন গাড়ী নিতে হবে না। কারন স্টেশন ও লঞ্চঘাট একেবারেই গায়ে লাগানো।#মংলা যাওয়ার পদ্ধতি:সায়েদাবাদ থেকে মংলার সরাসরি বাস আছে। এই সেমি চেয়ারকোচ বাসগুলো রাত ৮টা থেকে ৮.৩০ এর মধ্যে ছেড়ে গিয়ে ৫-৬টার মধ্যে মংলা পৌছায়। আর ভাড়া পড়বে ৩৫০-৪৫০।এ ছাড়াও গাজীপুর থেকে মংলা যায় গ্রামীন পরিবহনের একটি গাড়ী।
কিছু পরামর্শ:সুন্দরবন টুরের দুটি উপভোগের বিষয় আছে, প্রথমটি ন্যাচার আর দ্বিতীয়টি ফুড। তাই অপারেটরের সাথে রেট ঠিক করার আগে খুব ক্লিয়ারলী কথা বলুন, সে কি দেখাবে, আর কি খাওয়াবে। কথা পাকা হয়ে গেলে সেই বিষয়গুলো উল্লেখ করে অবশ্যই লিখিত চুক্তি করুন। এক ভ্যাসেলের কথা বলে আরেক ভ্যাসেল দিয়ে দেয়ার অভিযোগ নিয়মিত। তাই চুক্তিতে জাহাজের ছবি সংযোজিত থাকলে আরো ভালো। জাহাজের কাগজ ঠিক আছে কিনা পারলে সেটাও নিশ্চিত হয়ে নিন। গত পরশু এ বিষয়ের একটি পোস্ট খুবই মারাত্নক ছিলো।এ ছাড়াও আরো কোন তথ্যের দরকার হলে ইনবক্স করতে পারেন। ফ্রি সময়ে এ্যানসার দেয়ার চেস্টা করবো। আর খুলনা বা মোংলায় যে কোন ধরনের সমস্যার জন্য যোগাযোগ কইরেন, স্থানীয় হিসেবে যতটুকু পারি সহযোগীতা করবো ইনসাল্লাহ।

(আমার বাড়ি মোংলাতে, ঐ দিকের থাকা-খাওয়ার নিরাপত্তা বা অন্য যে কোন সমস্যায় যোগাযোগ করতে পারেন। যে কোন তথ্য লাগলেও বলতে পারেন বিনা সংকচে। আমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব হেল্প করবো।

Courtesy : REDWAN KHAN




সহজেই ঘুরে আসুন টাংগুর হাঁওর



সত্যিই খুব সুন্দর জায়গা টাঙ্গুয়ার হাওর, যাদুকাটা নদী, বারেক টিলা, টেকেরঘাট (লাকমাছড়া, নীলাদ্রী লেক, পরিত্যক্ত চুনাপাথর প্রকল্প)। আমরা ৫ ভাই বোন ঘুরে আসলাম গত ২৬ তারিখে। চাইলে ঘুরে আসতে পারেন পরিবার নিয়ে স্বল্প খরচে। আমাদের ট্যুর প্ল্যান এরকম ছিলঃ
রাত ১০.৩০- ঢাকা-সুনামগাঞ্জ (শ্যামলী) জনপ্রতি ৫৫০
টাংগুর হাঁওর

দিন ১ঃ

সকাল ৭.০০-সুনামগাঞ্জ-তাহিরপুর (সিএনজি) জন প্রতি ১০০ টাকা করে ভাড়া। আপনি চাইলে বাসে আব্দুস জহুর সেতুর কাছে নেমে সি এন জি নিতে পারেন অথবা বাস কাউন্টারে নেমে অটোতে করেও সেতুর কাসে আসতে পারেন। একটা অটো গাড়ি ৬০ টাকা নিবে।
সকাল ৮.৩০- ডাক বাংলোতে প্রবেশ (আগেই কথা বলে নিবেন। যোগাযোগের ঠিকানা নিচে দেওয়া আছে) ২ রুমে আমরা ৫ জন ছিলাম পরদিন দুপুর ২ টা পর্যন্ত। ৬০০ টাকা নিয়েছে মোট। সাথে কিছু বকসিস চাইতে পারে।
সকাল ৯.১৫- সকালের নাস্তা।
এরপর তাহিরপুর-মিয়ার চর (সি এন জি) ৩০০ টাকা রিজার্ভ। ১ ঘণ্টা লাগে যেতে।
ওখান থেকে যাদুকাটা নদী অতিক্রম (নৌকা) জনপ্রতি ৫ টাকা করে।
নদী পার হয়ে অটো রিজার্ভ নিবেন শিমুল বাগান পর্যন্ত। প্রতি অটো ৩০০ টাকা করে।
৩০-৪০ মিনিট লাগবে। তারপর হেটে নদীর চর পার হয়ে রাস্তায় উঠে ডান দিকে সোজা হাটবেন। চাইলে রাস্তা থেকে গাইড নিতে পারেন ২০০ টাকা দিলেই খুশি হবে। হেটে সোজা বারিক টিলায় উঠে যাবেন। এক দিক দিয়ে উঠে আরেক দিক দিয়ে নেমে যাবেন। নেমে অটোতে উঠবেন (যদি বাইক না চড়তে চান)। অটোতে উথার সময় গাইড ছেড়ে দিবেন।
ওই অটোতে করে টেকেরঘাট (ডাম্পের বাজার-পুরাতন বাজার) যাবেন। যাওয়ার পথে বড়ছড়া বাজারে দুপুরের খাবার খাবেন। তারপর টেকেরঘাটের কাছাকাছি গেলেই দেখেবন এক পাশে সবুজ টিলা, আরেক পাশে নীল রং এর লেক (নীলাদ্রী লেক)। ওখানে থেমে ঘুরে ছবি তুলবেন। তবে মনে রাখবেন কোনভাবেই যেন বিকাল ৫.০০ টার বেশি না বাজে ঘোরা শেষ করতে। এই জায়গা আবারো আ্সা হবে পরদিন সকালে। এরপর ঘাটে নেমে ৫ টাকা জনপ্রতি করে নৌকা দিয়ে পার হয়ে নতুন ঘাটে নামবেন। ওখানে নেমে কাউকে জিজ্ঞেস করলে দেখিয়ে দিবে তাহিরপুর যাওয়ার লাইনের নৌকা কোথা থেকে ছাড়ে। ওখানে গিয়ে জনপ্রতি ৪০ টাকা করে লাইনের নৌকায় উঠবেন। ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট লাগে তাহিরপুর যেতে। দেরী করে ফেললে লাইনের নৌকা আর পাবেন না। তখন নৌকা রিজার্ভ নিতে হবে। (আমাদের দেরী হয়েছিল, ফলে ৬০০ টাকায় নৌকা রিজার্ভ নিতে হয়েছিল)। এজন্যই বিকাল ৫ টার মধ্যে ঘোরা শেষ করতে বলেছি। আমরা তাহিরপুর থেকে দুপুর ১২ টায় বের হয়ে ঘুরে ৬ টায় এসে তাহিরপুরের নৌকা ভাড়া করেছিলাম। তাহিরপুর থেকে সকাল ১০.৩০ টার আগেই বের হলে সমস্যা হবে না। খুব সহজেই ঘোরা যাবে। রাতে হোটেল আফরোজে খাবেন।

দিন ২ঃ

শুরুতেই বলে রাখি ২য় দিনে আমরা একটু ভিন্ন সময়ের প্ল্যান করেছিলাম যা সা্ধারনত দেখা যায় না।
আমরা ভোর ৪.৪৫ এ নৌকায় উঠেছিলাম। আগে থেকেই মাঝি ফজলু ভাইকে (নাম্বার নিচে দেওয়া আছে) বলে রেখেছিলাম সবকিছু। উনি খুব খুব ভাল মানুষ। তিনি থাকলে আর কোন সমস্যা নাই। উনি ভোর ৪.৩০ টায় আমাদের ডাক বাংলো থেকে নিয়ে নৌকায় নিয়ে গেছেন। আগের দিন রাতে ওনার সাথে দেখা করে সব ঠিক করে নিবেন।
নৌকাতে উঠে যা দেখলাম, তা বলে বুঝানো যাবে না। হাওরে সূর্যোদয়ের দৃশ্য বর্ণনাতীত। সকাল ৬.৩০ টায় টেকেরঘাট পৌছে গেলাম। নেমে আবার নীলাদ্রী, চুনাপাথর প্রকল্প ঘুরে নিবেন। তারপর মাঝির সাথে যাবেন লাকমাছড়া দেখেতে। সিলেটের বিছানাকান্দির মত দেখতে জায়গাটা। দেখে ফিরে এসে নাস্তা করে নিবেন।
তারপর শুরু হবে টাঙ্গুয়ারের উদ্দেশ্য যাত্রা। ভ্রমনটা সত্যিই উপভোগ্য। ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিটে চলে যাবেন ওয়াচ টাওয়ারে। ওখানে যতক্ষন খুশি সময় কাটান, পানিতে নামুন, গোসল করুন, ছোট ছোট নৌকা নিয়ে বন ঘুরে দেখুন, রাতারগুলের স্বাদ পাবেন। যতক্ষন খুশি ঘুরে তাহিরপুর চলে আসুন। আসার সময় লাগবে ১ ঘন্টা।
নৌকা ভাড়া নিল ২৭০০ টাকা। আর বকসিস দিলাম ৬০০ টাকা। ওনার বিভিন্ন ধরনের নৌকা আছে। চাইলে আপনি ওনার নৌকায় থাকতে পারেন। উনি ভাল রান্নাও পারেন। ২ দিনের জন্য নিলে কথা বলে দাম ঠিক করে নিবেন।
টাংগুর হাঁওর
তারপর তাহিরপুর এসে, ডাক বাংলোতে ফ্রেস হয়ে আফরোজে দুপুরের খাবার খাবেন। খেয়ে ব্যাগ নিয়ে সি এন জি তে উঠবেন। সি এন জি কে বলবেন সুনামগঞ্জ গিয়ে কবি হাসন রাজার বাড়ি ঘুরিয়ে বাস স্ট্যান্ডে নামিয়ে নিতে। সর্বোচ্চ ৬৫০ টানা নিবে সব মিলিয়ে। বিকেলে ঢাকার বাস পাবেন না। কেউ যদি চান শহর ঘুরে, সুরমা নদীতে রিভার ভিঊ ঘুরে রাতের বাসে ফিরতে পারেন অথবা আমাদের মত কাজ করতে পারেন। আমরা কবি হাসন রাজার বাড়ি ঘুরে, সুরমা নদীর পার দিয়ে এসে সিলেট-সুনামগঞ্জ বিরতিহীন বাস কাউন্টারে এসে সি এন জি থেকে নেমেছি। ওইখান থেকে ৯০ টাকা জনপ্রতি বাসের টিকেট কেটে সিলেট এসেছিলাম। বাস তেমন দাঁড়ায় নাই সিটিং সার্ভিস। ১ ঘন্টা ১৫ মিনিটে সিলেটের কুমারগাও বাস স্টেশনে নেমে গেছি। ওইখান থেকে সি এন জি নিয়ে রেল স্টেশনে গিয়েছিলাম (অনলাইনে টিকেট কাটা ছিল, টিকেট প্রিন্ট করেছি)। তারপর পানসী রেস্টুরেন্টে আনলিমিটেড খাওয়া। পানসীতে ফ্রেস হয়ার ভাল ব্যবস্থা আছে। ২য় তলায় রাজ পানসীতে চলে যাবেন। খুবই ভাল খাবার, দামও কম। ভীড় থাকে অনেক, একটু সময় লাগবে জায়গা পেতে। খেয়ে এসে ট্রেনে উঠে গেলাম। রাত ১০ টায় উপবন এক্সপ্রেস ট্রেন ছাড়ল, ভোর ৫.৩০ টায় কমলাপুর নামিয়ে দিল। আপনার চাইলে বাসেও আসতে পারেন।
আমাদের খরচ হয়েছিলঃ ৩৮০০ টাকা জনপ্রতি (যেখানে লাইফ জ্যাকেট ছিল ৬০০ টাকা করে)। লাইফ জ্যাকেট অবশ্যই নিয়ে যাবেন, সাতার জানেন বা না জানেন।
প্রয়োজনীয় যোগাযোগঃ
কাইয়ুম (ডাক বাংলো, তাহিরপুর)> ০১৭৩৬৪৪৭৪৭৬
ফজলু ভাই (মাঝি)> ০১৭১৯৬৫৯৪৪৫
ঘুরে আসুন ভাল লাগবে। ধন্যবাদ।


সংগৃহীত- 
Tahasin Ahmed Fahim ভাই
Travelers OF Bangladesh.

৫০ ডলারে দার্জিলিং (রিশপ-লাভা) ভ্রমণ......!

কি বলেন মাত্র ৫০ ডলারে দার্জিলিং ভ্রমণ!!
জি মাত্র ৫০ ডলারেই!
তবে পোস্ট মোতাবেক :)


দারজিলিং

কিভাবে সেটা?
চলেন দেখে বা ঘুরে আসি মাত্র ৫০ ডলারে দার্জিলিং আসলে (রিশপ-লাভা) যা আমার চোখে দার্জিলিং এর চেয়েও শতগুণে সুন্দর, আকর্ষণীয় আর অভিজাত! তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে বেড়িয়ে আসি, কি বলেন?
যাত্রা শুরু ঢাকা থেকে......
৬৫০ টাকায় নাবিল পরিবহনের ধূমপান যুক্ত ও প্রায় লোকাল গাড়িতে! করে সকাল ৭:৩০ এ পঞ্চগড়। প্রথমবার এই গাড়ি যথেষ্ট ভালো সার্ভিস দেয়াতে, দ্বিতীয় কোন চিন্তা না করে নাবিলের টিকেট কেটেছিলাম। যার পরিণাম এইবার পেয়েছি হাতে-হাতে।(এই গল্পটা বলা হয়েছে!)।
পঞ্চগড় থেকে দেড় ঘণ্টার সুপার লোকালে ৭০ টাকার বিনিময়ে বাংলাবান্ধা, মাঝে তেতুলিয়াতে ১০ টাকার লুচি আর চা, ব্যাস হয়ে গেল সকালের নাস্তা।
বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশনে গিয়ে পড়লাম !
দারজিলিং
ফুলবাড়ি গিয়ে মাত্র ৫/৭ মিনিটে সব ফর্মালিটি শেষ করে, ১০ মিনিট হেটে মূল শহরের রাস্তায় গিয়ে, ২২ টাকা দিয়ে শিলিগুড়ি গেলাম পানির ট্যাংকি জীপ স্ট্যান্ডে। যেখান থেকে সরাসরি কালিম্পং ও লাভার শেয়ার জীপ পাওয়া যায়। পৌঁছে গেলাম ১৫/২০ মিনিটে সেই গন্ত্যব্যে। তখন বেলা ১১ টা।
গিয়ে জানলাম কালিম্পং এর জীপ এখনি যাচ্ছে, লাভার জীপ আছে তবে সেটা দুপুর ২ টার পরে। লাভা যেতে সময় লাগবে প্রায় ৩:৩০ ঘণ্টা! আর সেই জীপও কালিম্পং হয়েই যাবে। তাই আর দেরী না করে কালিম্পং যাবার জীপের টিকেট কাটলাম, সাথে কিনে নিলাম পথে খাবার জন্য প্রায় ২০০ টাকার শুকনো খাবার। পথে যদি ভালো যায়গা না পাই তবে যেন লাঞ্চটাও সেরে ফেলা যায়, এমন কিছু খাবার সহ।
ঠিক ঠিক ২:৩০ ঘণ্টায় পৌঁছে গেলাম কালিম্পং। মাঝের যে অপার্থিব প্রকৃতির সৌন্দর্য পেয়েছি সেজন্য আলাদা গল্প লেখা আছে “৩০ সেকেন্ড আর ৫০ টাকার” গল্পে, চাইলে পড়ে দেখবেন। এখানে শুধুই টাকার হিসেবের খতিয়ান, কারণ সবাই এটাই পড়তে চান! বাকি গল্পগুলো আমার নিজের টাইম লাইনের জন্য! আগ্রহ থাকলে ওখানে গিয়ে পড়ে নিয়েন!
কালিম্পং গিয়ে জীপ থেকে নাম্বার আগেই দেখি লাভার দিকে ছেড়ে যাচ্ছে আর একটি জীপ। ড্রাইভারকে জানাতেই তিনি লাভার জীপকে দার করালেন। এক জীপ থেকে নেমেই আর এক জীপে উঠে পড়তে গিয়েই দেখি, আরে এ যে অরণ্য আর মাধবী! “নো ম্যান্স ল্যান্ড!” ধারাবাহিকের আহা!
মাধবীদের সাথে আঁকাবাঁকা পাহাড়ি আর ঢেউ খেলানো পথে দুলতে-দুলতে, বৃষ্টিতে ভিজতে-ভিজতে আর শিহরিত হতে-হতে লাভায় পৌঁছে গেলাম ১:৩০ মিনিটে (এই ভীষণ রোম্যান্টিক গল্পটা “নো ম্যান্স ল্যান্ড” উপন্যাসের জন্য আমার টাইম লাইনে!) ভাড়া ছিল টাকায় ৭৮ টাকা মাত্র!
লাভায় গিয়ে দেখি সব বন্ধ, কিছুই খোলা নেই! না কোন হোটেল না কোন লজ, না কোন খাবার জায়গা! কারণ এখন পুরোপুরি অফ সিজন। তাই সবাই যে যার মত আছে, নিজেদের নিয়ে। পাহাড়েরও যেন কোনই কাজ নেই, নেই কোন পর্যটক, তাই সব পাহাড়েরা মিলে গল্প করছে খুব-খুব মন খারাপ নিয়ে, কারো মুখে হাসি নেই যেন, গাড় কালো মেঘে ঢেকে রেখেছে নিজেদেরকে কষ্টের আঁচল দিয়ে! কোন-কোন পাহাড় আবার করুন কণ্ঠে সূর তুলেছে ঝরিয়ে বৃষ্টির তান!
তবুও খুঁজে-খুঁজে একটি লজে থাকার ব্যাবস্থা করে ফেললাম, ভাড়া অফ সিজন বলে মাত্র ৩৬০ টাকা রুম প্রতি! যদিও ৪০০ টাকা চেয়েছিল, কিন্তু দরদাম করে এটাতেই রফা করেছিলাম। হিম শীতল পানিতে একটু ফ্রেস হয়ে গরম কাপড় পড়ে বাইরে বের হলাম, বৃষ্টি আর পাহাড় দেখতে একা-একা, ঘুরে-ঘুরে।
কোন খাবারের (লাঞ্চ এর জন্য) দোকান খোলা না পেয়ে শেষে নিজের কাছে রক্ষিত কেক-কোক আর চকলেট দিয়েই লাঞ্চ সারতে হয়েছিল। হাটতে হাটতে চলে গেলাম লাভার ভীষণ সুন্দর, ছিমছাম আর পরিচ্ছন্ন এক মনেসট্রিতে। সেখানে একজন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র পেয়ে গেলাম, যে ভ্যাকেশনে বাড়িতে এসেছে সময় কাটাতে।
তার সাথে বৃষ্টির মাঝেই ঘুরে দেখলাম সেই জায়গাটার খুঁটিনাটি। ভিউ পয়েন্ট, রাচেলা পিক, কাঞ্চন পিক, এমন আরও অনেক অনেক মজার তথ্যে আমাকে অভিভূত করে রেখেছিল সন্ধা নাম্বার পূর্ব পর্যন্ত। এরপর বৃষ্টির ছাট আর প্রায় সন্ধার আঁধারে দুজনে মিলে লাভার পিকে বসে উপভোগ করলাম গরম কফি! আহ সে এক অপার্থিব পাওয়া। (ভিন্ন গল্পে আছে সেই মজার সৃতি!)
সন্ধা নামতেই সব সুনসান। এমনিতেই মানুষ নাই, তখন তো আরও নাই। তাই রুমে ঢুঁকে দুই কম্বলের নিচে ঢুঁকে পড়লাম! হ্যাঁ এমনই ঠাণ্ডা যে মোটা মোটা দুই কম্বলেই সস্থি খুঁজে নিতে হয়েছে! তন্দ্রা লেগেছিল বেশ, সারাদিনের পাহাড়ি ঝাঁকুনিতে, ঝিমিয়ে পড়েছিলাম কানে হেডফোন লাগিয়ে। চমকে গেলাম, লজের কেয়ারটেকারের ডাকে। তিনি গরম গরম খাবার রেডি করে ডাকতে এসেছেন। ৯০ টাকায় ডিনারের প্যাকেজ! খেয়ে দেয়ে ঘুম।
সকাল ৫:১৫ তে ঘুম থেকে উঠে রিশপের পথে পায়ে হাটা শুরু, নেওরাভ্যালী ন্যাশনাল ফরেস্ট এর ভিতর দিয়ে, যে গল্পটা ইতিমধ্যেই পোস্ট করা হয়েছে (যাহ কুত্তা, কাম বয়েস!” নামে!) রিশপ পৌঁছে মুগ্ধতা আর মুগ্ধতা! বুঝতে পারছিলাম না কোন দিকে তাকাবো, পূর্বে না পশ্চিমে, উত্তরে না দক্ষিণে? চারদিকে এতটাই মুগ্ধতা আর আকর্ষণের ছড়াছড়ি!
                             রিশপ
দুপুর পর্যন্ত রিশপে কাটিয়ে আবার ফেরার পথ ধরলাম। লাভায় ফিরে এসে, লাঞ্চ সেই ১০০ টাকার প্যাকেজ! সারাদিন এদিক-ওদিক ঘুরে ঘুরে কাটিয়ে, এটা সেটা খেয়ে আরও ২৫ টাকা খরচ করে ফেললাম! ওহ সাথে কফির জন্যও ২০ টাকা! পরের দিন আবার ফেরার পালা। সেই একই ভাবে তবে এবার কেন যেন ৮৫ টাকা লাগলো, লাভা থেকে কালিম্পং যেতে! তবে কালিম্পং এসে লাভা থেকে ফেরার সেই অতিরিক্ত জীপ ভাড়ার টাকা পুষিয়ে নিয়েছিলাম, কালিম্পং থেকে ১৪৫ টাকার জীপে না ফিরে, পাবলিক বাসে ১২০ টাকা ভাড়া দিয়ে!
শিলিগুড়ি ফিরে ৫০ টাকার চাওমিন, ২৫ টাকার রসগোল্লা, ১৫ টাকার লিমকা খেয়ে আর ২০ টাকার আইসক্রিম নিয়ে উঠে পড়লাম ফুলবাড়ির অটোতে ভাড়া ১৮ টাকা। তারপর ফুলবাড়ি সীমান্তে অভাবনীয় আতিথিয়তা! (সে অন্য গল্পে)। এরপর আর কি? ৭০ টাকায় পঞ্চগড় আর ৬০০ টাকায় ধূমপানযুক্ত নাবিল পরিবহণে ঢাকা!
এই হল আমার দার্জিলিং জেলার অন্যতম আকর্ষণীয় দুই যায়গা রিশপ-লাভা ভ্রমণের খরচের খতিয়ান। তো দেখে নেয়া যাক, সাকুল্যে কত খরচ হল?
ঢাকা থেকে বাংলাবান্ধা ৬৫০+৭০= ৭২০/- টাকা
ট্র্যাভেল ট্যাক্স-৫০০/- টাকা
ফুলবাড়ি থেকে শিলিগুড়ি ২০/- টাকা
দুই দিনের জন্য স্ন্যাক্স ১৭৫/- টাকা
(২০০ টাকার স্ন্যাক্স এর কিছু বেঁচে গিয়েছিল যা পরে ফেরত নিয়ে এসেছি!)
কোক ৫০/- টাকা
শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং ১৫০/- টাকা
কালিম্পং থেকে লাভা ৮৫/- টাকা
সেদিন দুপুরে লাঞ্চ পাওয়া যায়নি লাভাতে! কাছে থাকা কেক আর কোক দিয়ে লাঞ্চ!
প্রথম রাতের ডিনার ১১৫/- টাকা
সকালে স্ন্যাক্স সাথে ছিল, কফি ১৫/- টাকা
দুপুর আর রাতের লাঞ্চ-ডিনার ২৩০/- টাকা
দুই রাতের লজ ভাড়া ৭২০/- টাকা
সকালের নাস্তা কেনা ছিল, কফি ২০/ টাকা
লাভা থেকে কালিম্পং ৯০/- টাকা
কালিম্পং থেকে শিলিগুড়ি ১২০/- টাকা বাস ভাড়া।
আরও ৫০ টাকা নিজের তিস্তায় নেমে গোসল করার জন্য অতিরিক্ত বাস ভাড়া।
দুপুরের পরে শিলিগুড়ি ফিরে লাঞ্চ স্বরূপ ১৩৫/- টাকা (চাওমিন-মিষ্টি-লিমকা-আইসক্রিম)
বাংলাবান্ধায় খাবার ৭০/- টাকা
বাংলাবান্ধা থেকে পঞ্চগড় ৭০/- টাকা
পঞ্চগড় থেকে ঢাকা ৬০০/- টাকা বাস ভাড়া
মোট খরচ= ৩৯৩৫/- টাকা! (৪৯.১৮ ডলার!)

হুম, ভাবছি এর পরে আর ৬৫০/- টাকা দিয়ে বাসে না গিয়ে ৩০০/- টাকা দিয়ে ট্রাকে বাংলাবান্ধা যাওয়া যায় কিনা...!!! :p
সবাইকে ধন্যবাদ।
সবার ভ্রমণ সুন্দর আর আনন্দঘন হোক।
সেই প্রত্যাশায়.........


কালেক্টেড -
Sajol Zahid ভাই।
Travelers of Bangladesh

category

category