সাজেক ভ্যালী।


বিস্তারিত যাওয়ার নিয়ম এবং কোথায় ঘুরবেন থাকবেন:ঢাকা থেকে শ্যামলি বা হানিফ পরিবহন ৫২০/-।  শান্তি পরিবহন দীঘিনালা বাজারে যাবে। সো ওটাতেই যাবেন। চাদের গাড়ি ধরতে সহজ হবে। বাস খরচ ৫৮০/- প্ল্যান করবেন সকাল ৭/৮ টার ভেতর খাগড়াছড়ি পৌছানোর। কারণ আর্মিদের বেধে দেওয়া সময়মত গাড়ি ছাড়ে সাজেকের উদ্দ্যেশ্যে। সকাল ১০ টা থেকে শুরু মে বি
সাজেক রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় অবস্থিত । সাজেক হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন । যার আয়তন ৭০২ বর্গমাইল । সাজেক রাঙামাটি জেলায় অবস্থিত হলেও যাতায়াতে সুবিধার কারণে পর্যটকরা খাগড়াছড়ি জেলা দিয়েই সাজেকে আসা যাওয়া করে ।
খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে সাজেক  এর দূরত্ব ৭০ কিলোমিটার ।  সাজেক যাওয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো খাগড়াছড়ি শহর থেকে জীপগাড়ি (লোকাল নাম চাঁন্দের গাড়ি) রিজার্ভ নিয়ে ঘুরে আসা । ভাড়া নিবে ৪৫০০-৫৫০০ টাকা । এক গাড়িতে ১৫ জন বসতে পারবেন । লোকসংখ্যা বেশি হলে অবশ্যই চান্দের গাড়ী নিয়ে মজা করতে করতে যেতে পারবেন ।ছাদে বসে গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছিলো রোলার কোস্টার। একবার উপরে উঠে আবার নামে। আর আশেপাশে পাহাড় দেখতে পারবেন সহজে।তবে এক্ষেত্রে কথা হলো ৪-৫ হাজার টাকা নিবে যদি আপনি দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসেন কিন্তু আপনি যদি রাতে থাকেন সেক্ষেত্রে আমি আপনাকে দুইটা রাস্তা দেখিয়ে দিতে পারি ,এক সাজেক গিয়ে গাড়ী ছেড়ে দিবেন কিন্তু ড্রাইভারের নাম্বারটা রেখে দিবেন বলবেন ফোন দিলে যেন চলে আসে । দ্বিতীয় রাস্তাটা হলো সাজেকে রাতে থেকে তারপর যখন চলে আসবেন সেদিন দেখবেন অনেক চান্দের গাড়ী যাত্রী নামিয়ে খালী চলে যাচ্ছে সেগুলোতে কম দামেই্ শহরে চলে আসতে পারবেন ।
কই থাকবেন: মেঘ মাচাং প্রথমেই সাজেস্ট করবো। মেঘের স্পর্শ পাবেন। আমি ছিলাম ইমানুয়েলে।ইমানুয়েল রিসোর্ট : এটিতে ৮ টি রুম আছে। সব গুলো কমন বাথ। রুম প্রতি ভাড়া ১৫০০ টাকা ও ৭০০ টাকা। ১৫০০ টাকার রুমে দুইটি ডাবল বেড আছে। ৬ জন থাকতে পারবেন। ৭০০ টাকার রুমে ২ টি বেড আছে। যোগাযোগ: ০১৮৬৫৩৪৯১৩০, ০১৮৬৯৪৯০৮৬৮( বিকাশ) এই রিসোর্টটা একদম সাধারণ একটা রিসোর্ট।
সাজেকে যা মিস করবেন না!- হ্যালিপেডে শুয়ে আকাশে তারা দেখে,আমার মত কপাল ভাল হলে পূর্ন চাঁদ ও দেখতে পারেন � ঝিরিঝিরি বৃষ্টি আর জোনাকি পোকা ও ছিল। ভোরে পাহাড়ের পিছন থেকে জেগে উঠা সূর্য।
সাজেক এর অপরুপ সৌন্দর্য্য দেখা ছাড়াও দেখে আসতে পারেন কমলক ঝর্না, সাজেকে এর রুইলুই পাড়া থেকে দুই থেকে আড়াই ঘন্টার ট্রেকিং করে দেখে আসতে পারেন সুন্দর এই ঝর্নাটি, বুনো রাস্তা আর ৮০-৮৫ ডিগ্রি খাড়া পাহাড় বেয়ে নামতে আর উঠতে হবে অনেক খানি তারপর ঝিরিপথ পাবেন, ঝিরিপথ ধরে এগিয়ে আবার উঠতে হবে কিছুটা, এইভাবে আরো কিছুক্ষন ট্রেক করার পর পৌছে যাবেন ঝর্নার কাছে। ঝিরিপথ টিও অসম্ভব সুন্দর, এডভেঞ্চারটি ভালো লাগবে আশা করি। রাস্তাটি বর্ষার সময় খুব পিচ্ছিল থাকে তাই খেয়াল রাখবেন চলার সময়। গাইড রুইলুই পাড়া থেকে ঠিক করে নিবেন, ঝর্নার কথা বললেই হবে, ৩০০-৩৫০ টাকা নিবে।
সাজেক থেকে ফেরার সময় হাজাছড়া ঝর্ণা , দীঘিনালা ঝুলন্ত ব্রিজ ও দীঘিনালা বনবিহার দেখে আসতে পারেন । একদিনে এই সব গুলো দেখতে হলে যত তারাতারি সম্ভব বেড়িয়ে পড়বেন ।
খাগড়াছড়ি শহর থেকে আপনি ঘুরতে পারবেন রিসং ঝরনা এবং আলুটিলা গুহা । সিএনজি বা বাসেই চলে যেতে পারেন এই দুই স্পটে ।
৬/৭ জনের গ্রুপ গেলে খরচ ৫-৫৫০০
অবশ্যই যেসব জিনিস নিবেন- পাওয়ার
ব্যাংক,চার্জার লাইট,রবি বা টেলিটক সীম
courtesy - Rahat hasan turzo bhai
Latest


EmoticonEmoticon